৪০ মিনিটের নাটকে ৩৯টি গান!




ঈদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে নতুন একটি নাটক। নাম 'হারানো দিনের গান'। নামের সঙ্গে মিল রেখে নাটকটিতে হারানো দিনের ৩৯টি গান ব্যবহার করা হয়েছে। আশরাফুল চঞ্চলের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন ইউসুফ চৌধুরী। নাটকটির মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। নাটকটিতে তাকে গান পাগল ব্যক্তির চরিত্রে দেখতে পাবেন দর্শক। যিনি শিল্পী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।

পরিচালক ইউসুফ চৌধুরী বলেন, এ প্রজন্মের অনেকেই আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের গানগুলো সম্পর্কে জানে না। অথচ আগে পাড়ায় মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রই এ গানগুলো শ্রোতাদের মুখে মুখে শোনা যেত। হারানো দিনের গান নাটকে তুলে ধরার উদ্দেশ্য হলো গল্পের ছলে সেসব গানের মূল অংশগুলো দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা।

নূর ইসলাম মানিক, সংগীতপ্রেমী এই লোকটির ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে গুণী সংগীতশিল্পী হওয়ার। বস্তাপচা গানের ধারাটাকে বদলে ফেলবেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ তাকেই বদলে দিয়েছে। অল্প বেতনে ঢাকার ছোট্ট একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তবে এত কিছুর পরেও গানকে ফেলতে পারেননি তিনি। খালি গলায় সারাক্ষণ গান চালিয়ে যান। যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে একটা গান মানিকের ঠোঁটের অগ্রভাগে রেডি হয়েই থাকে। বাবার কথা মনে আসতেই কণ্ঠে তোলেন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, শুনেছিলাম গান’। মানিকের প্রাণের মানুষ লাভলি। কপালগুণে এরকম সুন্দরী একটা মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়েছেন। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর সিগারেট জ্বালিয়ে বিছানায় শুয়ে পা দোলাতে দোলাতে গুন গুন করে গেয়ে ওঠেন ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে... অনেক বেদনাই সয়েছো’। এভাবে গল্পের তালে তালে এক নাটকে তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রের কালজয়ী ৩৯টি গান।

পরিচালক আরো বলেন, গতমাসে শুটিং করেছি। বৃহস্পতিবার গানগুলোর রেকর্ডিং হবে। ঈদে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারের পর সরকার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে হারানো দিনের গান নাটকটি প্রকাশ করা হবে।

নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মোহন আহমেদ। তৌসিফ ছাড়াও নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল, শাহেদ আলী সুজন, হানিফ পালোয়ান। নির্মাতার প্রত্যাশা, আসন্ন ঈদে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা অসংখ্য নাটকের ভিড়ে ‘হারানো দিনের গান’ নাটকটি দর্শকদের কাছে ভালো লাগার তালিকায় থাকবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি